Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ইসরাইলি হামলার পর নিখোঁজ ইরানের কুদস ফোর্স প্রধান ইসমাইল কানি

ইসরাইলি হামলার পর নিখোঁজ ইরানের কুদস ফোর্স প্রধান ইসমাইল কানি

ইসরাইলি হামলার পর নিখোঁজ ইরানের কুদস ফোর্স প্রধান ইসমাইল কানি

ইরানের এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানি ইসরাইলি বাহিনীর সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। লেবাননে হিজবুল্লাহর প্রয়াত প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ হত্যার পর ইসমাইল কানি লেবানন সফরে গিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) থেকে তার সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে ইরানের দুই সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত মাসের শেষের দিকে ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এ ঘটনার পর ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান ইসমাইল কানি লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পৌঁছান। তিনি বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে অবস্থান করছিলেন, যা দাহিয়েহ নামে পরিচিত। ওই এলাকাটি হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলার পর থেকে ইসমাইল কানির সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে, ইসরাইলি বাহিনী বৈরুতের দাহিয়েহ অঞ্চলে হিজবুল্লাহর সিনিয়র নেতা হাশেম সাফিউদ্দীনের বিরুদ্ধে এক ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। সাফিউদ্দীন সেসময় একটি বাঙ্কারে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগদান করছিলেন। তবে ইরানি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ইসমাইল কানি সেসময় সাফিউদ্দীনের সঙ্গে ছিলেন না। সাফিউদ্দীনকে হিজবুল্লাহর প্রয়াত প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে বিমান হামলার পর থেকে সাফিউদ্দীনের অবস্থান সম্পর্কেও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইরান এবং হিজবুল্লাহ, উভয়েই কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল কানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতি ইরানের জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, কারণ ইসমাইল কানি ২০২০ সালে কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুর পর কুদস বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

ইসমাইল কানির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেন, ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার ফলাফল এখনও মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহের শেষ দিকে ইসরাইল বৈরুতের হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দফতরে হামলা চালায় এবং এ হামলার ব্যাপারে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য আসলে তা প্রকাশ করা হবে।

ইসমাইল কানির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এবং ইসরাইলি হামলার প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।